মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোনের কারাদণ্ডের সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন। এর ফলে ৬৭ বছর বয়সী স্টোনকে আর কারাগারে যেতে হচ্ছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতাবলে সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোনের সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে হওয়া তদন্তে আইনপ্রণেতাদের মিথ্যা বলা, তাদের কাজে বাধা দেয়া ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার দায়ে স্টোনকে ৪০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
রবার্ট মুলারের রাশিয়া বিষয়ক তদন্তের ওপর ভিত্তি করে ফেব্রুয়ারিতে সোয়া ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি স্টোনকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা এবং ২৫০ ঘণ্টা কমিউনিটি সার্ভিস দেওয়ারও সাজা দিয়েছিলেন বিচারক অ্যামি বারম্যান।
রায় অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবারই ট্রাম্পের সাবেক এ উপদেষ্টাকে জর্জিয়ার জেসুপ কারাগারে যেতে হতো।
বিবিসি জানিয়েছে, স্টোন ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে তার কারাদণ্ড শুরুর তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। শুক্রবার আদালত ওই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার কিছু সময় পরেই ট্রাম্পের এ সাবেক উপদেষ্টার সাজা মওকুফের ঘোষণা আসে।
স্টোন উইকিলিকসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটিকে মিথ্যা বলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কূটনৈতিক ও সামরিক নথি ফাঁস করে দিয়ে আলোড়ন তোলা ওয়েবসাইট উইকিলিকস ২০১৬ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়া ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের কিছু ইমেইল ফাঁস করে দিয়েছিল।
‘বিধ্বংসী’ ওই ইমেইল ফাঁসের ঘটনা ট্রাম্পের জয়ে ভূমিকা রেখেছিল বলে অনুমান অনেকের। হিলারির ওই ইমেইলগুলো রুশ হ্যাকাররা চুরি করেছিল বলে ভাষ্য মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাজা মওকুফ করে দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্টোনের আইনজীবীরা। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা একে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের একটি কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টিলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্কিফ বলেছেন, ‘এ সাজা মওকুফের মাধ্যমে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে যে এখন দুই ধরনের বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান তা স্পষ্ট করেছেন। একটি তার অপরাধী বন্ধুদের জন্য, অন্যটি বাকি সবার জন্য।’
Leave a Reply